বাড়ৈখালী জনপদিটির ইতিহাস অতি প্রাচীন। যদিও এটি কত প্রাচীন তা নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন ইতিহাস বা গবেষণামূলক দলিল বা প্রমান পত্র পাওয়া যায় নাই। তবে স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন সময়ে এখানে পুকুর খনন ও খাল কাটার সময় বেশ পুরানো স্বর্ণমুদ্রা, কষ্টিপাথরের মূর্তি ইত্যাদি পাওয়ার প্রমান হয়- ১২ শতকের সময়েও বাড়ৈখালী এলাকাটির অস্তিত্ ছিল। এলাকায় যে মন্দিরের ধ্বংশাবশেষ পাওয়া যায় বা যে সব চিহ্নগুলো এখনো বিদ্যামান তাতে এলাকার বিদগ্ধ জনের মন্তব্য হচ্ছে এগুলো কম করে হলেও ৪০০ বছরের পুরানো। বাড়ৈখালী এলাকাটিকে ভাটি অঞ্চল বলা হয়। নীচু এলাকা হওয়ায়। ভৌগলিক কারণেই এলাকাটি দূর্গম ছিল অনুমান করা যায়। যোগাযোগের ক্ষেত্রে নৌকাই ছিল একমাত্র ব্যবস্থা- কিন্তু বাড়ৈখালীর পাশের দুই গ্রাম চুড়াইন ও শেখরনগরে স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়েছে আজ থেকে প্রায় দেরশত বছর আগে। বাড়ৈখালীর অধিবাসীরা ভাগ হয়ে ঐ দুই স্কুলে পড়াশুনা করতো বিধায় এখানে স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন অনুভূত হয় বেশ পরে। ১৯১০ সালে করনেশন এম মাইনর স্কুল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। তার আগে পর্যন্ত কিভাবে এলাকার মানুষ পড়াশুনা করেছে আদৌ করতে পেরেছে কিনা সন্দেহ। নিশ্চয়েই সে সময় জঙ্গলাকীন এই জনপদের ক্ষুদ্র, অল্প সংখ্যক অধিবাসীগন চাষাবাদ করে, মৎসশিকার, তাঁত শিল্প, মৃৎশিল্প বাঁশ ও বেত শিল্পের উপর নির্ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। নৌকা চালিয়েও অনেকে সন্নিকটে থাকা সত্বেও সভ্যতার ছোওয়া পেতে এই এলাকার মানুষকে সুদীর্ঘকাল অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার আগে পর্যন্ত এলাকার মানুষেরা প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেই তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল। তাই বাড়ৈখালীর ইতিহাস এই এলাকার অধিবাসীদের সংগ্রামের ইতিহাস বললেও বেশী বলা হয় না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস